সম্প্রতি ডাক্তার ও প্রশাসনের তুমুল তরজা শোনা গেল।নেপথ্যে একদল সমাজবিরোধী নিজেদের 'রোগীর বাড়ির লোক' বলে দাবি করলেন।কোল্যাটারাল ড্যামেজ হিসেবে একপাশে রইল কয়েকটি সম্ভাবনার অবসান, অন্যদিকে নিস্পাপ শিশুর মৃত্যু ।বুদ্ধিজীবীরা কলম ধরলেন।কেউকেউ ডাক্তারদের চোদ্দগুষ্টির পিন্ডি চটকালেন,কেউকেউ রোগীর বাড়ির লোকজনদের দায়ী করলেন।ঠান্ডা ঘরের বৈঠকে সমাধান সম্ভাবনা বেরিয়ে এল।
হেল্পলাইন,সিসিটিভি,প্রতিশ্রুতির পিঠে আরো একডজন প্রতিশ্রুতি । ছবিটা বদলাল কি? কেন বদলালো না?চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক কি তবে সাপ আর নেউলের? তাহলে পারস্পরিক সমঝোতা বা "থেরাপিউটিক অ্যালায়েন্স"র কী হবে?এইসব প্রশ্ন খনন করতে করতে আমার মনে হল, যে সিসিটিভি বা লিটিগেশন নয়,সমস্যার একমাত্র সমাধান "সহমর্মিতা " ও "পারস্পরিক বিশ্বাস"।
চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভুত উন্নতি করলেও প্রাথমিক আবশ্যিকতায় এই দুটি সত্য এখনও সমান প্রাসঙ্গিক ।কথোপকথনের ভাষা, চালচলন নিয়ে চরক সংহিতায় একটি অধ্যায় আছে।দুর্ভাগ্য তার কোনও অনুবাদ আমার কাছে নেই।তবে চরকমুনির কয়েক শতাব্দী পরে আসা চিকিৎসা-গবেষক হাচিশন ডাক্তারদের কিছু সরল উপায় বাতলে দিয়েছেন।কী সে উপায়?"
আয় ততটুকু করুন যতোটুকু একান্ত প্রয়োজন ।রোগীকে সময় দিন।বাকিটা নিজের পরিবার ও আত্মবিনোদনকে।চিকিৎসকের জীবনকে বোঝা না ভেবে উপভোগ করুন।রোগীর পরিজনের উদ্দেশ্যে গবেষক অবশ্য কিছু বলেননি।আমার মনে হয় তাদের জন্য একটাই বার্তা থাক।'বিশ্বাস হারাবেন না।যেই ডালে বসে আছেন তাকে কাটলে কিন্তু আপনারই ক্ষতি।'